গল্পঃদ্বিতীয় বিয়ে
পর্বঃ২(পরের অংশ আগামীকাল রাত আট টায়)
আবির আমাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো..আমি মাথা উঁচু করে আবিরের চোখের দিকে দৃঢ় দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললাম-
"আমি তোমাকে কিছুই দিতে পারিনি আবির,
তোমাকে নিজে হাতে দ্বিতীয় বিয়ে দিতে চাই.."
"আমি তোমাকে কিছুই দিতে পারিনি আবির,
তোমাকে নিজে হাতে দ্বিতীয় বিয়ে দিতে চাই.."
কথাটা বলতেই আমার গলায় যেন পুরো ঢোকটা আটকে গেলো..বুকের ভেতর আসা কষ্টের নিঃশ্বাস টুকু যেন গলার নিচেই বেঁধে থাকলো..আবির আস্তে করে আমাকে ছেড়ে দিলো..তারপর আমার দিকে মুখ উঁচু করে তাকালো..আমি ওর মুখের দিকে তাকাতে পারলাম না...
আমাকে ডেকে উঠলো ভারী কণ্ঠে--
"নীলা,আমার দিকে তাকাও..."
আমাকে ডেকে উঠলো ভারী কণ্ঠে--
"নীলা,আমার দিকে তাকাও..."
ওর কণ্ঠ শুনে আমি যেন আরো নিচের দিকে মুখ করে রাখলাম..আবির কয়েক মুহুর্ত যেন অপেক্ষা করলো আমার মুখের দিকে চেয়ে..আমার থুতনীতে হাত দিয়ে আলতো করে আমার মুখ তুলে ধরলো..
আমি চোখ-মুখ শক্ত করে আবিরের দিকে তাকালাম..আবিরের চোখে পানি ছলছল করছে..কিন্তু ওর চোখে পানি দেখে আমার বুক কাঁপলো না...
আমি চোখ-মুখ শক্ত করে আবিরের দিকে তাকালাম..আবিরের চোখে পানি ছলছল করছে..কিন্তু ওর চোখে পানি দেখে আমার বুক কাঁপলো না...
আমি ওর দিকে তাকিয়ে থাকলাম..
আবিরও আমার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকলো কিছুক্ষণ..দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো ওর খুব কষ্ট হচ্ছে..যে কথা দুই বছর ধরে ওর মায়ের মুখ থেকে মাঝে মাঝেই শুনে এসেছে,সেই কথাটা আমার মুখে প্রথমবার শোনাটা হয়তো ওর জন্য ভীষণ কঠিন ছিলো..কিন্তু আমারও যে কিচ্ছু করার নেই আর..আমিও যে নিরুপায়...দুজন এভাবেই কিছুক্ষণ কাটিয়ে দিলাম..আবির হয়তো আমার কাছ থেকে কিছু শুনবে বলে আশা করছিলো..
আমি বুঝতে পারছিলাম,কিন্তু আমি তো সেটা বলতে পারছিলাম না..
আবিরও আমার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকলো কিছুক্ষণ..দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো ওর খুব কষ্ট হচ্ছে..যে কথা দুই বছর ধরে ওর মায়ের মুখ থেকে মাঝে মাঝেই শুনে এসেছে,সেই কথাটা আমার মুখে প্রথমবার শোনাটা হয়তো ওর জন্য ভীষণ কঠিন ছিলো..কিন্তু আমারও যে কিচ্ছু করার নেই আর..আমিও যে নিরুপায়...দুজন এভাবেই কিছুক্ষণ কাটিয়ে দিলাম..আবির হয়তো আমার কাছ থেকে কিছু শুনবে বলে আশা করছিলো..
আমি বুঝতে পারছিলাম,কিন্তু আমি তো সেটা বলতে পারছিলাম না..
বেশ কিছুক্ষণ সময় কেটে গেলে,আবির মুখটা আস্তে করে নামিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে চুপচাপ আমার সামনে থেকে চলে গেলো ঘরের বাইরে....আমার বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে উঠলো ওর চলে যাওয়া দেখে..বুকের ভেতর ফেটে যাচ্ছিলো,মনে হচ্ছিলো ওকে চেঁচিয়ে বলে উঠি--
"আবির,আমি কথাটা বলতে বাধ্য হয়েছি গো..
আমি সহ্য করতে না পারলেও আমার যে মনের কথাটা বলার যোগ্যতা টুকুও নেই...."
ও চলে যাওয়ার পরে আমার নিজের মনের ভেতরই একটা প্রশ্ন জাগলো--
"আচ্ছা,এতো কিছু হচ্ছে.অথচ আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে না কেন...?"
আমার মন আমাকে উত্তর দিলো বোধ হয়--
"গত দুইবছরে ক্ষণে ক্ষণে ফেলা অশ্রুফোঁটা গুলো এখন শুকিয়ে গেছে...."
আমি সহ্য করতে না পারলেও আমার যে মনের কথাটা বলার যোগ্যতা টুকুও নেই...."
ও চলে যাওয়ার পরে আমার নিজের মনের ভেতরই একটা প্রশ্ন জাগলো--
"আচ্ছা,এতো কিছু হচ্ছে.অথচ আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে না কেন...?"
আমার মন আমাকে উত্তর দিলো বোধ হয়--
"গত দুইবছরে ক্ষণে ক্ষণে ফেলা অশ্রুফোঁটা গুলো এখন শুকিয়ে গেছে...."
আমার মাথাটা কেমন জানি ঘুরে উঠলো..আস্তে করে বসে পড়লাম বিছানায়..ঘরের দরজা দিয়ে অন্ধকারে একটু বসে থাকবো ভেবে দরজা দিতে গিয়েই শুনতে পেলাম আমার শ্বাশুড়ি মা আমার শ্বশুরকে বলছে---
"আবিরের বাবা,অনেক তো হলো.বউ তো কখনো মাই হতে পারবে না..আমার ঘরে ছেলেমেয়েদের ডাক শুনতে পারবো না এটার জন্য যতটা না খারাপ লাগছে তার থেকে বেশি কষ্ট হচ্ছে আমার আবিরের কোলে কোন সন্তান দেখে আমি মরতে পারবো না.."
বলেই মা কেমন জানি কেঁদে উঠলো..আমার শ্বশুর চুপ করে শুনছিলো মায়ের কথা..মা আবার কাঁদো কণ্ঠে বলে উঠলো--
"তুমি ছেলেটার বের হওয়ার সময় ওর মুখের দিকে তাকিয়েছিলে?আমার ছেলে আর ছেলে নাই..তুমি যে করেই হোক আমার ছেলের মুখে হাসি ফোটাও..না হলে আমার কিছু একটা হয়ে যাবে..."
"তুমি ছেলেটার বের হওয়ার সময় ওর মুখের দিকে তাকিয়েছিলে?আমার ছেলে আর ছেলে নাই..তুমি যে করেই হোক আমার ছেলের মুখে হাসি ফোটাও..না হলে আমার কিছু একটা হয়ে যাবে..."
বলেই আবারো কান্না..আমি দরজা আজড়ে ধরে দাঁড়িয়ে থাকলাম..হঠাৎ আমার শ্বশুর বাবা আমাকে ডাক দিলো বউমা বলে....
আমার বুকের ভেতর খচ করে উঠলো..
এতো ভালোবাসার স্বামীর মুখে হাসি ফোটাতে নিজের সারাজীবনের হাসি বিসর্জন দিতে আমি কিভাবে যাই..!আমার দম বন্ধ হতে চাইছে যেন...
আমি গলা অনেক জোরে টেনে "জ্বী বাবা,আসছি বললাম.."
এতো ভালোবাসার স্বামীর মুখে হাসি ফোটাতে নিজের সারাজীবনের হাসি বিসর্জন দিতে আমি কিভাবে যাই..!আমার দম বন্ধ হতে চাইছে যেন...
আমি গলা অনেক জোরে টেনে "জ্বী বাবা,আসছি বললাম.."
কাপড়টা পাল্টে মাথায় ঘোমটা দিয়ে মনটাকে পাথর করেই বাবার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম..আমার শ্বাশুড়ি মা তখনো কাঁদছে..তাকে সান্ত্বনা দেওয়া তো দূরে থাক,বলার মত কিছুই নেই...
বাবা কথা উঠাতেই একটু কাশি দিয়ে উঠলো...
আমি এক দৌড়ে গিয়ে টেবিল থেকে গ্লাস ভর্তি পানি নিয়ে আসলাম ছুটে..বাবাকে দিতেই বললাম--
"বাবা,আস্তে আস্তে পানি খেয়েন..কাশি হয়েছে তো..গলায় পানি আটকে যেতে পারে তাড়াহুড়ো করলে.."
বাবা কথা উঠাতেই একটু কাশি দিয়ে উঠলো...
আমি এক দৌড়ে গিয়ে টেবিল থেকে গ্লাস ভর্তি পানি নিয়ে আসলাম ছুটে..বাবাকে দিতেই বললাম--
"বাবা,আস্তে আস্তে পানি খেয়েন..কাশি হয়েছে তো..গলায় পানি আটকে যেতে পারে তাড়াহুড়ো করলে.."
বলেই আমি পাশে দাঁড়িয়ে রইলাম..বাবা আমার মুখের দিকে কষ্ট সাথে মুগ্ধতা নিয়ে তাকালো...
আমি একটু হাসি মুখ করে রাখলাম...বাবা আস্তে আস্তে পানি খেলো..তারপর বাবা আমাকে তার পাশে
বসতে বললেন..আমি ধীরে ধীরে গিয়ে বসলাম..মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে খেয়াল করলাম,মা আমার দিকে তাকাচ্ছেন না...
কষ্ট লাগলো ভীষণ...বাবা আমার মাথায় হাত রাখলেন..রেখে কান্না শুরু করে দিলেন..আমি চুপ করে বসেই থাকলাম.।আমার মুখ দিয়ে কিছু বের হবে না..সবার কষ্টের জন্য আমিই দায়ী...
বাবা বললেন,
"মারে..এমন কঠিন সময়ের মধ্যে পড়বো।সে কথা কখনো ভাবিনি..ক্ষতিটা সব থেকে বড় তোর হয়েছে..তারপরও আমরা স্বার্থপরের মতন শুধু নিজেদেরটাই..........."
আমি একটু হাসি মুখ করে রাখলাম...বাবা আস্তে আস্তে পানি খেলো..তারপর বাবা আমাকে তার পাশে
বসতে বললেন..আমি ধীরে ধীরে গিয়ে বসলাম..মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে খেয়াল করলাম,মা আমার দিকে তাকাচ্ছেন না...
কষ্ট লাগলো ভীষণ...বাবা আমার মাথায় হাত রাখলেন..রেখে কান্না শুরু করে দিলেন..আমি চুপ করে বসেই থাকলাম.।আমার মুখ দিয়ে কিছু বের হবে না..সবার কষ্টের জন্য আমিই দায়ী...
বাবা বললেন,
"মারে..এমন কঠিন সময়ের মধ্যে পড়বো।সে কথা কখনো ভাবিনি..ক্ষতিটা সব থেকে বড় তোর হয়েছে..তারপরও আমরা স্বার্থপরের মতন শুধু নিজেদেরটাই..........."
বাবা আর শেষ করতে পারলেন না..কান্না করতে থাকলেন..আমি তড়িঘড়ি করে বাবার হাত ধরে বসে পড়লাম মেঝেতে...কঠিন হয়ে ধীর গলায় বললাম--
"বাবা..আপনি কাঁদবেন না..আমি আপনার ছেলেকে বলেছি দ্বিতীয় বিয়ের কথা..ওকে আমি রাজী করাবো..."
"বাবা..আপনি কাঁদবেন না..আমি আপনার ছেলেকে বলেছি দ্বিতীয় বিয়ের কথা..ওকে আমি রাজী করাবো..."
এই কথা বলার সাথে সাথেই আমার শ্বাশুড়ি আমাকে ডেকে উঠলো..
-তুই সত্যি বলছিস বউ...??
আমার গলায় উত্তর আটকে আসছিলো অভিমানে..ঢোক গিলে উত্তর দিলাম...
হ্যাঁ মা....
-তুই সত্যি বলছিস বউ...??
আমার গলায় উত্তর আটকে আসছিলো অভিমানে..ঢোক গিলে উত্তর দিলাম...
হ্যাঁ মা....
অনেক কান্নাকাটির পরে শ্বাশুড়ি মায়ের মুখে হাসি ফুটলো..আমি আর বসে থাকতে পারছি না..ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়িয়ে বললাম...আমি ঘরে গেলাম মা..
আপনার ছেলেকে ঘরে আসতে বলি...
শ্বাশুড়ি একটু লাফ দিয়েই বলে উঠলো...
"হ্যাঁ.. বউ..তুই জলদি গিয়ে ডাক..."
আপনার ছেলেকে ঘরে আসতে বলি...
শ্বাশুড়ি একটু লাফ দিয়েই বলে উঠলো...
"হ্যাঁ.. বউ..তুই জলদি গিয়ে ডাক..."
আমি ঘরের দিকে এগোচ্ছি..কিন্ত হাঁটছি কিভাবে বুঝতে পারছি না..মনে হচ্ছে পায়ের নিচে মাটি নেই..ঘরে ঢুকেই দরজা দিয়ে ফেললাম..
জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে নিতে,ফোন টা হাতে করে আবিরকে ফোন দিতে লাগলাম..
রিং হচ্ছে,আবির বারবার কেটে দিচ্ছে...
জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে নিতে,ফোন টা হাতে করে আবিরকে ফোন দিতে লাগলাম..
রিং হচ্ছে,আবির বারবার কেটে দিচ্ছে...
চার,পাঁচবার এমন কল দেওয়ার পর দেখি ফোনটা বন্ধ করে দিলো আবির..আমার ভীষণ দুশ্চিন্তা হতে শুরু করলো সাথে সাথে.কি হচ্ছে..?
আবির কোথায় আছে??ও তো কখনো এমন করে না...........
আবির কোথায় আছে??ও তো কখনো এমন করে না...........
গল্পঃদ্বিতীয় বিয়ে
পর্বঃ ২
লেখাঃআফসানা জামান তুলতুলি
পর্বঃ ২
লেখাঃআফসানা জামান তুলতুলি
(প্রথম পর্ব প্রথম কমেন্টে আছে..পরের অংশ আগামীকাল রাত আট টার দিকে..)